শারীরিক সম্পর্ক: প্রেমিকাকে বিপদে ফেলতে গিয়ে নিজেই ধরা খেলেন প্রেমিক

শারীরিক সম্পর্ক: প্রেমিকাকে বিপদে ফেলতে গিয়ে নিজেই ধরা খেলেন প্রেমিক
ইন্সট্যান্ট হট শাওয়ার ওয়াটার হিটার(Hot Shower Water Hiter )

একসময় ছিল প্রেমের সম্পর্ক। একাধিকবার হয় শারীরিক সম্পর্কও। পরে হঠাৎ পাশের গ্রামের একজনের সঙ্গে বিয়ে হয় প্রেমিকার। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে  তরুণীর স্বামীর দেখা করে শারীরিক সম্পর্কের কথা জানিয়ে দেয় প্রেমিক। এরপর ঘটনা মোড় নেয় অন্যদিকে। শেষ পর্যন্ত তালাকের সিদ্ধান্ত হয়। এ ঘটনার পর নিজেই ধরা খান প্রেমিক।

ধর্ষণের খবর ফাঁস করায় তালাকপ্রাপ্ত প্রেমিকার ধর্ষণ মামলায় প্রেমিক বকুল মিয়াকে (৩০) গ্রেফতার করেছে র‍্যাব। গ্রেফতার বকুল মিয়া ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার আব্দুল্লাহপুর গ্রামের মো. ফজলুল হক ফজলুর ছেলে। বৃহস্পতিবার (১২ নভেম্বর) রাতে ময়মনসিংহ র‍্যাব-১৪ কার্যালয় থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এর আগে বুধবার (১১ নভেম্বর) রাতে চট্টগ্রামের সীতাকুন্ড থেকে বকুলকে গ্রেফতার করে র‍্যাব।

র‍্যাব সূত্র জানায়, উপজেলার কাদিরপুর এলাকার ওই তরুণীর (১৮) সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল প্রতিবেশী বকুলের। বিয়ের প্রলোভনে তরুণীর সঙ্গে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্ক করে বকুল। পরে হঠাৎ পাশের গ্রামের খাইরুল নামে একজনের সঙ্গে বিয়ে হয় তরুণীর। এতে বকুল ক্ষিপ্ত হয়ে বিয়ের ১৩ দিন পর স্থানীয় বাজারে তরুণীর স্বামীর দেখা করে বকুল। সেসময় বকুল খাইরুলকে জানায় তার স্ত্রী ধর্ষিতা এবং সে নিজেই ধর্ষণ করেছে। এর একাধিক প্রমাণ তার কাছে আছে বলেও জানায় বকুল।

এ ঘটনার পর সংসার ভাঙার উপক্রম হলে উভয় পক্ষই সালিশের আয়োজন করে। পরে স্থানীয় সালিশে বকুল অকপটে তাদের বিভিন্ন অন্তরঙ্গ মুহূর্তের কথা জানায়। পরে বিষয়টি প্রমাণিত হলে সালিশ থেকেই তালাকের সিদ্ধান্ত হয়। এ ঘটনার পর গত ১৬ অক্টোবর ওই তরুণী বাদী হয়ে প্রেমিক বকুল মিয়াকে অভিযুক্ত করে নান্দাইল থানায় ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করেন।

এ বিষয়ে র‍্যাব-১৪ এর এএসপি জোনাঈদ আফ্রাদ বলেন, ঘটনাটি অত্যন্ত স্পর্শকাতর। সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে ওই আসামিকে গ্রেফতারের নির্দেশ দেন র‍্যাব-১৪ এর কমান্ডিং অফিসার (সিও) লেফটেন্যান্ট কর্নেল এফতেখার উদ্দিন। পরে র‌্যাব-১৪ এর ব্যাটালিয়ন সদর ও র‌্যাব-৭ এর দুইটি আভিযানিক দল গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে বুধবার বকুলকে চট্টগ্রামের সীতাকুন্ড থেকে গ্রেফতার করে।

আপনি আরও পড়তে পারেন